পাকা ধানে মই : সেচ খাল উপচে ভেসে গেল পাকা ধানের জমি

20th November 2020 9:47 pm বর্ধমান
পাকা ধানে মই : সেচ খাল উপচে ভেসে গেল পাকা ধানের জমি


প্রদীপ চট্টোপাধ‍্যায় ( বর্ধমান ) :  ধান পেকে যাওয়ায় শুরু হয়েগেছে ধান গাছ কাটার  কাজ। এমন  সময়ে সেচ খালে দিয়ে আসা জলে ভেসে গিয়েছে পাকা ধানের জমি। আর তাতেই মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে রাজ্যের শস্যগোলা বলে পরিচিত পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ব্লকের আমারুন ১ অঞ্চলের চাষিদের । সেচ খালের জল পাকা ধানের জমি প্লাবিত করায় সংকটে  পড়ে গিয়েছেন ভাতারের  আড়া, আমারুন প্রভৃতি এলাকার বহু চাষি ।তাঁদের  বক্তব্য অসময়ে  জমিতে সেচের জল ঢুকে পড়ায় ধান নষ্ট হয়ে যাবে । তার জন্য চরম তাঁদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে । ক্ষতিপূরণ না মিললে চাষিরা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না ।  আমারুন এলাকার চাষিরা জানিয়েছেন , খরিফ মরশুমের ধান পেকে গিয়েছে । এখন  জমির পাকা ধানগাছ কাটা শুরু হয়েছে । অনেকের কাটা ধান গাছ জমিতেই পড়ে রয়েছে ।  কেউ কেউ জমিতেই শুরু করেছেন ধান   ঝাড়াইয়ের  কাজ। তারই মধ্যে  বুধবার রাত থেকে ডিভিসি সেচ খালে  হু হু করে জল বাড়তে শুরু করে।সেচখালের কিছু অংশে বাঁধ ভাঙা ছিল।সেখানদিয়ে জমিতে  জল ঢুকে পড়েছে।  এলাকার চাষি জহিরউদ্দিন বলেন, সেচখাল দিয়ে প্রচুর জল পাকা ধান জমিতে ঢুকে পড়ায় ভীষণ  ক্ষতি হয়ে গেল।যে পরিমাণ জল জমিতে ঢুকেছে তা শুকোতে কমকরে একমাস  লাগবে। এতদিন মাঠে ধান কাটার মেশিনও নামানো যাবে না।অপর চাষি জসিম মোল্লা জানান, এবছর এমনিতেই পোকায় ধানের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। জমিতে লাগাতার কীটনাশক প্রয়োগ করেও পোকা আটকানো যায় নাই। এখন পাকাধানের জমিতে জল ঢুকে গিয়ে বড় ক্ষতি হয়ে গেল ।  এলাকার চাষির ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছেন। ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ প্রদ্যুৎ পাল এইবিষয়ে বলেন, ভাতারের একটা অংশের খুব ক্ষতি হয়েছে ঠিকই ।পাকাধানের জমিতে ক্যানেলের জল ঢুকে গেছে। তিনি নিজে এলাকা ঘুরে দেখেছেন।চাষিদের জন্য কি করা যায় সেই বিষয়টি নিয়ে উচ্চ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করবেন বলে কৃষি কর্মাধ্যক্ষ জানিয়েছেন । 

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।